পটুয়াখালীতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন পুলিশ সদস্যরা। বাংলাদেশ পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা পুলিশ লাইন্সের সদস্যরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করেন। 

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা আত্মগোপনে যাওয়ার পর পুলিশ কনস্টেবলসহ নিম্ন পর্যায়ের অফিসাররা আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানা গেছে। 

গতকাল মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেলে পটুয়াখালী পুলিশ লাইন্সের দুই শতাধিক পুলিশের উপপরিদর্শক, সহকারী উপপরিদর্শক ও কনস্টেবল ঘণ্টা ব্যাপী বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে তারা ১১ দফা দাবি উল্লেখ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেন।

১১ দফা দাবিতে উল্লেখ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যে সকল পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে তাদের বিচার করতে হবে। বাংলাদেশ পুলিশ কোনো সরকার অথবা রাজনৈতিক দলের অধীনে কাজ করবে না। পুলিশ ০৮ (আট) ঘণ্টার বেশি ডিউটি করবে না। অধস্তন কর্মচারীরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কোনো মৌখিক আদেশ পালনে বাধ্য থাকবে না। বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মচারীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের পদোন্নতির মতো পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। বাংলাদেশ পুলিশের বাৎসরিক ২০ দিন ছুটি বৃদ্ধি করে ৬০ দিন করতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতো অধস্তন কর্মচারীদেরকে সোর্স মানি দিতে হবে, কারণ অধস্তন কর্মচারীরাই মাঠে কাজ করে। বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি ইউনিটি প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে পূর্ববর্তী মাসের টিএ/ডিএ পরিশোধ করতে হবে। নতুন বেতন স্কেল প্রণয়ন পূর্বক মূল বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। বাংলাদেশ পুলিশের ঝুঁকিভাতা বৃদ্ধি করতে হবে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সসহ পুলিশ লাইন্স, থানা, ফাঁড়ি, তদন্ত কেন্দ্রের নিরাপত্তা বেষ্টনী জোরদার করে নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে হবে।

এ সময় বক্তারা জানান, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে সারা দেশে পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা, পুলিশ সদস্য খুনসহ স্থাপনা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা আত্মগোপনে চলে গেছেন। এতে সাধারণ পুলিশ সদস্যরা আতঙ্কে ও জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

আরএআর