ফেনীতে পৃথক ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন আওয়ামী লীগ, দুইজন যুবলীগ নেতাকর্মী ও অপরজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক। এছাড়াও শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবরে তিন থানায় ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিহতদের স্বজনরা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (৫ আগস্ট) শহরের মাস্টারপাড়ায় বিক্ষুব্ধ জনতার তাণ্ডবে আতঙ্কিত হয়ে বাসার ছাদ থেকে পড়ে ফেনী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর বাদল হাজারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার জেলার সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নের সাহেবেরহাট এলাকার একটি খাল থেকে মুশফিকুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক পদে ছিলেন। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

সোনাগাজীর নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল আলম বলেন, মরদেহের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হলেও কেউ উদ্ধারে আসেনি। পরে স্বজনদের ডেকে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিন ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নে বাদশা মিয়া ওরফে কানা বাদশা (৪০) নামের যুবলীগের এক কর্মীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তার মাথায় ও হাতে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকেও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী। বালিগাঁও আফতাব বিবি বাজারে একটি করাতকলের (স মিল) সামনে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত বাদশা মিয়া ইউনিয়নের মধুয়াই গ্রামের ব্যাপারী বাড়ির আবুল খায়েরের ছেলে।

অন্যদিকে সোমবার রাতে শহরের পৌরসভা সংলগ্নে জাফর আহাম্মদ (৫০) নামে এক অটোরিকশা চালককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নাজির রোডে একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতেন তিনি। নিহতের বাড়ি সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের ফতেহপুর এলাকায়।

এদিকে সোমবার রাতে ফেনী মডেল থানা, দাগনভূঞা ও ছাগলনাইয়া থানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, জেলার তিন থানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এতে প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ স্থাপনা পুড়ে গেছে। তবে কোনো পুলিশ সদস্যের ক্ষতি হয়নি। সবাই নিরাপদে রয়েছেন।

তারেক চৌধুরী/এসএসএইচ