শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর সারা দেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও লাখ জনতা রাস্তায় নেমে উল্লাস করেছে। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানাসহ শহরজুড়ে বিশৃঙ্খলায় সৃষ্ট ময়লা-আবর্জনা নিজ হাতে পরিষ্কার করতে মাঠে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকেল থেকে তারা কার্যক্রম শুরু করেছেন। শুধু তাই নয়, তারা একই সঙ্গে পুলিশের অনুপস্থিতিতে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছেন।

শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশ ছেড়ে যাওয়ার খবরে উল্লাসের মাঝেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ব্যাপক আনন্দ উল্লাস হয়েছে। লোকজন সদর থানা, ব্যাংক এশিয়াসহ শহরের ভেতর আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের দোকানপাট ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। একই সঙ্গে চলেছে সুযোগ সন্ধানীদের লুটপাট। মঙ্গলবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোয় গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। থানা ও ট্রাফিক বিভাগের সকল পুলিশ এখন ব্যারাকে। কোনো জরুরি প্রয়োজনে পুলিশের কাছে সেবা পাওয়ার সুযোগ নেই। 

এমতাবস্থায় শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের পুরো দায়িত্ব পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী শহরের মোড়গুলোতে দাঁড়িয়ে যানবাহন চলাচলে সহায়তা করছেন। একই সঙ্গে বিকেল থেকে তারা কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে দিনভর রাস্তার ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করেন।

শিক্ষার্থীদের এমন মহতি উদ্যোগে সাধারণ পথচারীরা প্রশংসা করেছেন। 

এমন কার্যক্রম নিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, দুষ্কৃতকারীদের হামলায় ভাঙচুর হওয়া সদর থানাসহ বিভিন্ন স্থানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম চলছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা সাধারণ মানুষকে শান্ত থাকার এবং যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা পরিহার করার অনুরোধ জানান।

মাজহারুল করিম অভি/আরএআর