বাহাউদ্দীন বাহার ও তার মেয়ে তাহসীন বাহার সূচনা

শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর গা ঢাকা দিয়েছেন কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বাহাউদ্দীন বাহার ও তার মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন মেয়র তাহসীন বাহার সূচনা। তারা কোথায় আছেন জানেন না নেতাকর্মীরাও। কোটা আন্দোলনের মাঝামাঝি সময়েই কুমিল্লা ছাড়েন সাবেক সংসদ সদস্য বাহার। 

দলীয় সূত্র মতে, বাহাউদ্দীন বাহার চোখের অপারেশনের অজুহাতে গত ১৫ জুলাই ঢাকায় চলে যান। এরপর আর কুমিল্লায় ফেরেননি। রাজধানীর উত্তরার বাসভবন থেকেই আন্দোলন দমানোর নির্দেশ দেন নেতাকর্মীদের। তার সে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেন তার মেয়ে মেয়র সূচনা।

গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির দিন কুমিল্লা কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় আন্দোলনকারীদের। সেদিন মহানগর থেকে শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে টমছমব্রিজ-কোটবাড়ি সড়কে অবস্থান নেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন মেয়র সূচনা। এ সময় সড়কে সড়কে নিপীড়ন চালানো হয় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের। 

সর্বশেষ গত শনিবার (৩ আগস্ট) কুমিল্লা নগরীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচিতে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় মহানগর ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। 

দলীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য বাহার ও তার মেয়ে মেয়র সূচনার কঠোর নির্দেশনায় নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাতে বাধ্য হন তারা। তবে মেয়র সূচনাকে সেদিন কুমিল্লার রাজপথে দেখা যায়নি। 

সূত্র বলছে, শেখ হাসিনার পতনের দিনও মেয়র সূচনা কুমিল্লাতেই ছিলেন। তবে শেখ হাসিনার পতনের পরপরই মুন্সেফবাড়ি এলাকার তাদের বাসভবনটি পুড়িয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। পুড়িয়ে ফেলা হয় রামঘাটলার মহানগর আওয়ামী লীগের অফিস এমনকি কুমিল্লা ক্লাবও। তবে কোথাও মেয়র সূচনাকে পাওয়া যায়নি। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিকেল ৫টার পর সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে ৩-৪ জন নারীকে বসিয়ে রেখে রানীর দিঘির দিকে যেতে দেখা গেছে। জনতা তখন সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানাচ্ছিল। কিন্তু এই নারীরা কারা সেটা বুঝা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে- ওই নারীদের মধ্যে কুমিল্লার মেয়র সূচনাও আছেন। তবে তাকে আটক বা হেফাজতের বিষয়ে কোনো কিছু জানায়নি সেনাবাহিনী। 

আরএআর