সুনামগঞ্জে মন্দিরের নিরাপত্তায় মাদরাসাছাত্ররা
পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং তাদের উপাসনালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের খবর আসতে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এমন খবরে সুনামগঞ্জের সচেতন নাগরিক, মাদরাসা ছাত্ররাসহ সচেতন মহল শহরের বিভিন্ন মন্দিরে অবস্থান নিয়ে পাহারা দেন। সারা রাত তারা শহরের বিভিন্ন মন্দিরে কঠোর অবস্থান নেন। রাত থেকেই কওমি মাদরাসার ছাত্ররা সুনামগঞ্জের মন্দিরের সামনে পাহারার ব্যবস্থা করেন।
ছাত্ররা জানান, ফজরের পর থেকে কওমি মাদরাসার ছাত্ররা সুনামগঞ্জের সব মন্দিরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন। যদিও সুনামগঞ্জের কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এই দেশ আমাদের সবার আর আমাদের সবাইকেই রক্ষা করতে হবে। এই দেশে সকলে যার যার ধর্ম পালন করবে। স্বাধীনতা মানে এই না যে অন্যরা ধর্ম পালন করতে পারবে না। আমরা সবার নিরাপত্তা দেব।
বিজ্ঞাপন
সুনামগঞ্জ শহরের শ্রী শ্রী কালী মন্দির কালীবাড়ী, দুর্গাবাড়ী মন্দির,এবং খ্রিস্টানদের কলোনিতে মাদরাসা ছাত্রদের অবস্থন ছিলো চোখে পড়ার মতো।
সনাতন ধর্মাবলম্বী দুর্জয় দাস দ্রুব ঢাকা পোস্টকে বলেন, সব ধর্মের ভাইয়েরা দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে রাত জেগে মন্দিরগুলো রক্ষা করেছেন। আমরা এ রকম ভ্রাতৃত্বের স্বপ্ন রোজ দেখি। এই ভ্রাতৃত্ব বজায় থাকুক।
সুনামগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবক আম্মার আহমদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশে সুযোগসন্ধানী একটা চক্র ঝামেলা চেষ্টা করছে। আর এদের প্রতিহত করতে আমাদের এই অবস্থান। আমরা চাই আমার দেশের সবাই নিরাপদে থাকুক। আর তাই আমরা মাদরাসা ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে মন্দির পাহারা দিচ্ছি।
আরেক স্বেচ্ছাসেবক সজীব ঢাকা পোস্টকে বলেন, সুনামগঞ্জ অসাম্প্রদায়িক শহর। এই শহরে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে থাকি। হিন্দুরাও আমাদের ভাই-বোন তাই তাদের নিরাপত্তা ও তাদেরকে অভয় দিতে মন্দিরের সামনে অবস্থান নিয়েছি।
আরএআর