সাংবাদিক প্রিয়র মা
‘আমার ছেলে যখন মারা যায় তখন কাঁদতে পারিনি, আজ কাঁদতে এসেছি’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর শিক্ষার্থীদের বিজয় উদযাপন করতে দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত তাহির জামান প্রিয়র মা।
সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ‘আবু সাঈদ চত্বর’ এ শিক্ষার্থীদের বিজয় উদযাপন করতে দেখে তিনি স্বস্তি প্রকাশ করেন।
বিজ্ঞাপন
এ সময় প্রিয়র মা সামছি আরা জামান বলেন, আবু সাঈদ যখন শহীদ হলো তখন অনেক কেঁদেছি। আমার ছেলে এই আন্দোলনে যেয়ে ঢাকায় শহীদ হয়েছে। তখন কাঁদতে পারিনি। আমি ভেবেছিলাম তোমাদের এখানে এসে কাঁদবো। আমি আসলে কাঁদতে পারছি না। এতগুলো জীবনের বিনিময়ে তোমরা দেশ স্বাধীন করেছো। ছাত্র সমাজ না দাঁড়ালে এই স্বাধীনতা আসতো না। তোমরা দেশকে মুক্ত করেছো বাবা এজন্য আমি তোমাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আজকে আমার ছেলে নেই কিন্তু সব জায়গায় আমার ছেলেকে খুঁজে পেয়েছি। আজ তোমরাই আমার সন্তান।
আরও পড়ুন
তাহির জামান প্রিয় ‘দ্য রিপোর্ট’ নামে একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে সবশেষ ভিডিও জার্নালিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন। রংপুর থেকে গত ১০ জুলাই রাতে ঢাকায় ফিরে আসেন। গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডে নিউজের কাজে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিকেল ৫টার দিকে নিহত হন। প্রিয়র মরদেহ ২১ জুলাই রংপুরের জুম্মা পাড়ায় নেওয়া হয়, সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।
শিপন তালুকদার/আরকে