ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা ৯নং পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরন ও তার গাড়িচালক আক্তার হোসেনকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। শহরের মহিলা কলেজ পাড়ার চেয়ারম্যানের নিজ বাড়িতে এ সহিংসতার ঘটনা ঘটায় দুর্বৃত্তরা। হত্যার পর হিরনের লাশ শহরের কেন্দ্রস্থল পায়রা চত্বরে টাঙিয়ে রাখা হয়।  

এছাড়া কালীগঞ্জ উপজেলায় ঝিনাইদহের সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে আগুন দিতে গিয়ে পুড়ে মারা গেছে ২ আন্দোলনকারী। সোমবার (৫ আগষ্ট) বিকেলে ঝিনাইদহ শহরে ও  কালীগঞ্জ উপজেলার ঢাকালে পাড়া এলাকায় এ ঘটনা দুটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা ১২ টার দিকে আন্দোলনকারীরা শহরের স্টেডিয়াম পাড়ায় অবস্থিত শহিদুল ইসলাম হিরনের বাড়িতে ভাঙচুর করতে যায়। সেসময় হিরন আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে লাইসেন্সকৃত গুলি দিয়ে ফায়ার করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।

পরে আন্দোলনকারীরা তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় ও তার ব্যক্তিগত গাড়ি চালক আক্তারকে কুপিয়ে জখম করে। এসময় আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এমন অবস্থায় বাড়ির ৩য় তলায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন হিরন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। সেই আগুনে পুড়ে মারা গেলে আন্দোলনকারীরা তার ঘরের দরজা ভেঙে লাশ বের করে শহরের কেন্দ্রস্থল পায়রা চত্বরে এনে টাঙিয়ে রাখে। সেখান থেকে লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে, স্থানীয়রা জানায়, শেখ হাসিনা’র দেশ ত্যাগের ঘটনার পর কিছু বিক্ষুব্ধ জনতা বিকালে কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের ঢাকালে পাড়া এলাকার জুয়েল নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে আগুন দেয়। এর মধ্যে রাব্বি ও জুয়েল নামের দুই আন্দোলনকারী ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় আগুন ধরাতে গেলে তারা আর নিচে নামতে পারেনি। ফলে সেখানেই পুড়ে তাদের মৃত্যু হয়। মৃত রাব্বির বাড়ি উপজেলার ফয়লা ও মনজুর বাড়ি খয়েরতলা এলাকায় বলে জানা গেছে।

তবে এ বিষয়ে পুলিশের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি ।

আব্দুল্লাহ আল মামুন/জেএ