স্বৈরাচার শাসনের পতনের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজবাড়ীতে বিজয় মিছিল করেছেন লাখো জনতা। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাজী কেরামত আলীর পৈতৃক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এর আগে তারা বাড়িতে প্রবেশ করে আসবাবপত্র বের করে নিয়ে যান।

সোমবার (৫ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে রাজবাড়ী শহরে জনতার ঢল নামে। সেনা প্রধানের ভাষণ শেষ হবার সাথে সাথে লাখো জনতা রাজবাড়ীর রাজপথে নেমে যায়। তারা এ সময় শহর জুড়ে আনন্দ মিছিল করেন তারা।

জানা গেছে, রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী আপন দুই ভাই। রাজবাড়ীর সজ্জনকান্দা গার্লস স্কুলের পাশে তাদের পৈতৃক বাড়ি। কিন্তু ওই বাড়িতে থাকতেন কাজী ইরাদত আলী। কাজী কেরামত আলী বছর পাঁচেক ধরে বেড়াডাঙ্গা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। 

এ সময়বিক্ষুব্ধ জনতা রাজবাড়ী সজ্জনকান্দা এলাকার গার্লস স্কুলের পাশে অবস্থিত রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী ও তার আপন ছোট ভাই রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীর বাড়িতে ভাঙচুর করে। বাড়িতে থাকা কাজী ইরাদত আলীর একটি প্রাইভেটকার ও একটি মাইক্রোবাস পুড়িয়ে দেয় জনতা। দরজা ভেঙে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে জনতা। যে যার মতো করে বাড়িতে থাকা জিনিসপত্র নিয়ে বের হয়ে যান। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপর বিদ্যুৎ অফিসের লোক এসে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এ সময় বাড়ির মধ্যে কাজী পরিবারের কেউ ছিলেন না।

বিক্ষুব্ধ জনতারা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সামনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুর‍্যালে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেন। এছাড়াও তারা রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। বিক্ষুব্ধ জনতা রাজবাড়ী প্রেসক্লাবে ভাঙচুর করে। এছাড়াও শহরে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের ব্যানার ফেস্টুন ভেঙে তা পুড়িয়ে দেন।

অপরদিকে গোয়ালন্দ পৌরসভা মেয়র ও গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজরুর ইসলাম মন্ডলের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে বিক্ষুব্ধ জনতারা। এসময় তারা মেয়রের গাড়ি পুড়িয়ে দেয়।  এছাড়াও বিক্ষুব্ধ জনতা গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করে।