কক্সবাজার ঈদগাঁও পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে গতকাল রোববার আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের গাড়িতে আগুন দেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি  উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের ঘর ভাঙচুর করা হয়। এতে ৫ থেকে ৭জন আন্দোলনকারী আহত হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঈদগাঁও বাস স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

রোববার দুপুরের পর থেকে ঈদগাঁও বাজার এলাকায় জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। সেখানে অবস্থান কর্মসূচি শেষে বিক্ষোভকারীরা উপজেলা আওয়ামীলীগের সমাবেশের দিকে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়।

পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ঈদগাঁও বাজারে বিক্ষোভকারীরা পৌঁছালে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা বিপরীত দিক থেকে ধাওয়া দেয়। কয়েক দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে ঘন্টাব্যাপী। পুলিশ ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ সময় ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়। পরে আন্দোলনকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবল চাকমার গাড়ি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল রাশেদের ব্যাক্তিগত গাড়িতে আগুন দেন।

ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল রাশেদ বলেন, আমাদের পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলছিল। হঠাৎ কোথা থেকে বিএনপি জামাত নেতারা এসে আমাদের ওপর হামলা করে। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ও আমার ব্যাক্তিগত গাড়িসহ আরও কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেন। আমাদের উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা ও ভাইস চেয়ারম্যান করিম সিকদারের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পাশাপাশি তারা থানা ঘেরাও করার চেষ্টা করে।

এই বিষয়ে জানতে নির্বাহী কর্মকর্তা সুবল চাকমার  মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সাইদুল ফরহাদ/এমটিআই