বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ডাকা অসহযোগ আন্দোলনকে ঘিরে মাগুরা সদর ও মহম্মদপুর উপজেলায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এ পর্যন্ত চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। রোববার (৪ আগস্ট) দিনভর চলা সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী (২৮), শ্রীপুর উপজেলার গোলাম মোস্তফার ছেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন (২৫), মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে সুমন শেখ (২৮) এবং মহম্মদপুর সদরের ইউনুস আলীর ছেলে আহাদ মোল্যা।

মাগুরা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অমর প্রসদ তিনজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে আরও একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জানা যায়, সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের গুলি ও বিক্ষোভকারীদের ইট-পাথরের আঘাতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে চার পুলিশ সদস্য এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সাংবাদিক রাশেদ খান, করতোয় পত্রিকার সাংবাদিক খায়রুল ইসলাম সবুজ ও এশিয়ান টেলিভিশনের সাংবাদিক ইমরুল ইসলাম রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এক দফা দাবি এবং অবরোধের সমর্থনে মাগুরা শহরের পারনান্দয়ালী এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করার চেষ্টা করা হলে ব্যাপারী পাড়া মোড়ে ব্রিজের ওপর পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময়  পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে  ছাত্রদল নেতা মেহেদী  হাসান রাব্বী  নিহত হন। একই স্থানে দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ফরহাদ হোসেনের।

অপরদিকে মাগুরার মহম্মদপুর সদরে বিক্ষোভকারীরা থানায় হামলা চালালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন আমিনুর রহমান ডিগ্রি কলেজের ছাত্র আহাদ মোল্যা এবং সুমন শেখ।

এ ছাড়া বিক্ষোভকারীরা মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান ফটক, মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, বাসভবনে হামলা-ভাঙচুর এবং মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয় এবং আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ এবং শতাধিক মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। পুলিশ আন্দোলকারীদের প্রতিহত করতে টিয়ারশেল, গুলি ও রাবার বুলেট ছুড়ে।

এমজেইউ