সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতায় মৃত্যু বেড়ে ছয়জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে একজন সাংবাদিকও রয়েছেন।

রোববার (৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন রায়গঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান।

নতুন তথ্য পাওয়া নিহত দুজন হলেন- উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মেহেদি হাসান ইলিয়াস ও ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনিয়ান টিটু। এর আগে মারা যাওয়া চারজন হলেন- উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন, ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার লিটন, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম ও দৈনিক খবরপত্র পত্রিকার সাংবাদিক প্রদীপ কুমার।

এদিকে ছাত্র আন্দোলনের এক দফাকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জ শহরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে যুবদল নেতাসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তথ্যটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অন্যদিকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। যা পুলিশ সদর দপ্তর থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

এ ছাড়াও আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সিরাজগঞ্জ আদালত এলাকায় ভাঙচুরসহ একাধিক থানা ও সদর এসিল্যান্ড অফিসে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা হেনরি, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নার বাড়িসহ একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি ও স্থাপনায়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজওয়ানুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মৃত্যুর বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে আদালত এলাকায় হামলা-ভাঙচুর, সদর এসিল্যান্ড অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানায় ও এনায়েতপুর থানায় আগুন, শাহজাদপুর ও বেলকুচি থানা এবং শহরের ২নং পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

শুভ কুমার ঘোষ/এমজেইউ