বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে অসহযোগ আন্দোলনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দখলে নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। রোববার (৪ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে সরকারি ব্রজমোহন কলেজের মসজিদ গেটে বিক্ষোভ শুরু করে। 

বিক্ষোভটি এক ঘণ্টার মধ্যে জনসমুদ্রে পরিণত হয়। মিছিলটি নতুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে গিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এরপরে দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক হয়ে চৌমাথা পর্যন্ত দখলে নেন। আন্দোলনকারীরা এ সময়ে সিটি করপোরেশনের ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া নিরাপত্তায় আসা পুলিশ সদস্যদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। 

অসহযোগ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নগরীতে যানবাহন চলাচল কমে এসেছে। দূরপাল্লার বাস চলাচল না করলেও অভ্যন্তরীণ রুটে কয়েকটি গাড়ি ছাড়তে দেখা গেছে। অসহযোগ আন্দোলনে শিক্ষার্থী ছাড়াও অভিভাবক, এলাকাবাসী ও বিভিন্ন পেশাজীবিরা যোগ দিয়েছেন। দোকানপাট খুব অল্প খুলেছে। 

রিকশাচালক হারুণ বলেন, আমি চাইলে আজ রিকশা চালাতে পারতাম। কিন্তু চালাতে নামিনি। ছাত্রদের আন্দোলন ঠিক আছে। হাসিনার আর গদিতে থাকার অধিকার নাই। এত ছাত্র মেরে ফেলেছে কেন জবাব দিতে হবে। 

শিক্ষার্থী নাইমুল বলেন, স্বৈরাচারকে এবার নামতেই হবে। আমরা এসেছি বিচারের দাবিতে। 

আরেক শিক্ষার্থী রেখা বলেন, এমন কোনো অন্যায় নেই যা সরকার করেনি। আমাদেরকে দাস মনে করতে শুরু করেছে। অনেক মেনেছি। আর মেনে নেব না। এক দফা দাবি আদায় করে ঘরে ফিরব।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরকে