টানা দুই দিনের বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।

খাগড়াছড়ি পৌর এলাকার বাস টার্মিনাল, শব্দমিয়া পাড়া, গঞ্জপাড়া, অপর্ণা চৌধুরী পাড়াসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সমস্ত এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বাসাবাড়িতে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি। বিশেষ করে শব্দমিয়া পাড়া, মেহেদী বাগ এলাকায় পানিতে তলিয়ে গেছে অধিকাংশ ঘরবাড়ি। আকস্মিক বন্যায় দুরবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই জানিয়েছেন, হঠাৎ করে পানি বেড়ে যাওয়ায় ঘর থেকে বের করতে পারেননি জিনিসপত্র। টিভি ফ্রিজসহ অনেক আসবাবপত্র পানিতে তলিয়ে আছে। পাহাড়ি ঢলে ছোটখাটো অনেক জিনিস ভেসে গেছে।

এছাড়াও টানা দুই দিনের বৃষ্টিপাতে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের দুই-একটি জায়াগায় পাহাড় ধস হলেও বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। জেলা সদরের কলাবাগান এলাকায় গতকাল শুক্রবার সকালে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এদিন বিকেলে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারদের বাসভবনের সীমানা প্রাচীর ধসে পড়েছে।

এছাড়া জেলা সদরের কলাবাগান, শালবাগান, রসুলপুর এলাকায় পাহাড় ধসের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। মূলত, পাহাড় কেটে যেসব ঘরবাড়ি তোলা হয়েছে, সেই সব স্থানে পাহাড় ধসের ঝুঁকি বেশি।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার হিসাব মতে পৌর এলাকায় অন্তত দুই শত পরিবার পাহাড় ধসের ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করে। 

খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, বন্যার্তদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আশার কাজ চলছে।

এদিকে জেলায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয়রা।

এমএ