ফের পানির নিচে নোয়াখালী পৌরসভা, পানিবন্দি লাখো মানুষ
ভারী ও টানা বর্ষণে ফের ডুবেছে নোয়াখালী পৌরসভা। জলাবদ্ধতায় আটকে আছে লাখো মানুষ। ডুবে গেছে সড়ক, বাসাবাড়িতেও ঢুকছে পানি। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় দীর্ঘ সময়ের ব্যাপক জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে পৌরবাসীদের।
পৌরবাসী দ্রুতই জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। তবে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে দুই দিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন মেয়র।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে; যা ২৪ ঘণ্টায় জেলার বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। দিনেও বৃষ্টি অব্যাহত ছিল।
জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে সরকারি অফিসগুলোতে পানি ঢোকে ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ডুবে যায়। এতে লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে পৌরবাসীর সপ্তাহ খানেক সময় লেগে যায়।
শিল্পকলা একাডেমির সামনে জলাবদ্ধতায় আটকে থাকা পথচারী মো. জাফর জয় ঢাকা পোস্টকে বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের প্রধান প্রধান সড়কে পানি জমে থাকে। গত মাসেও এমন অবস্থা হয়েছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সামনে আরও বৃষ্টি হবে, তাই দ্রুতই পৌর কর্তৃপক্ষকে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে।
রিকশা চালক মিলন মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে আমাদের রিকশা চালাতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। বৃষ্টির পানির সাথে ড্রেনের নোংরা পানি মিশে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, জলাবদ্ধতা রোধ প্রকল্পে শহর ও আশপাশের ১৬১ কিলোমিটার খাল খনন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালী। সাথে সাথে নোয়াখালী খালও খনন করা হয়েছে। যেটা নোয়াখালীর দুঃখ ছিল। পুরোপুরি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে ড্রেন ও নালা রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন।
আরও পড়ুন
নোয়াখালীর পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিভিন্নস্থানে জলাবদ্ধতার ফলে ভোগান্তির বিষয়ে আমি খবর পেয়েছি। আমরা দ্রুতই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছি। আসলে ড্রেনগুলো পরিষ্কার না থাকায় এমন হয়েছে। আমার কর্মীরা কাজ করছে। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে সাময়িকভাবে এটা হয়েছে। আগামী দুই এক দিনের মধ্যে এটি সমাধান হয়ে যাবে।
হাসিব আল আমিন/এনএফ