রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আটক হওয়া আরেক শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে এনেছেন শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মতিহার থানা থেকে আশিকুর রহমান নামের ওই ছাত্রকে ছাড়িয়ে আনা হয়।

আশিকুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

শিক্ষকরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি ছিল। ওই কর্মসূচিতে অংশ নিতে আশিকুর মেইন গেট (প্রধান ফটক) দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখান থেকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এই খবর জানতে পেরে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন সহকারী প্রক্টরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান থানায় যান। তারা ওই শিক্ষার্থীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হকও উপস্থিত ছিলেন।

প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, ওই শিক্ষার্থীকে আটকের পরই দুজন সহকারী প্রক্টরকে থানায় পাঠানো হয়। পরে সহকারী প্রক্টরসহ আরও দুজন শিক্ষক থানায় যান। রাত ১০টার দিকে থানা থেকে ওই শিক্ষার্থীকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. মোবারক পারভেজের মুঠোফোন কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। তবে অন্য গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেছেন, যাচাই-বাছাই শেষে ওই শিক্ষার্থীকে শিক্ষকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। তাদের ছাড়াতে রাতভর থানায় অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। সাত শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজনকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি তিনজনকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শাহিনুল আশিক/এমজেইউ