জয়পুরহাটে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পাঁচ থানার ছয়টি মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এ পর্যন্ত জেলায় গ্রেপ্তার আসামির সংখ্যা ১০২ জনে দাঁড়িয়েছে হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে শিক্ষার্থী ও বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা রয়েছেন বলে জানা গেছে।

জয়পুরহাট পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পরিদর্শক (ডিআইও-১) মো. কাওসার আলী আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে নতুন করে কোনো থানায় মামলা হয়নি। ছয়টি মামলার মধ্যে সদর থানায় দুইটি মামলা হয়েছে। আর চারটি মামলা জেলার চার থানা পাঁচবিবি, কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর থানায় হয়েছে। এসব মামলায় ৮৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও অনেকেই আসামি হয়েছেন। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ১০২ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে সদর থানায় ৫২ জন, পাঁচবিবি থানায় ১৭ জন, আক্কেলপুরে ১১ জন, কালাইয়ে ৮ জন ও ক্ষেতলাল থানায় ১৪ জন।

সংশ্লিষ্ট থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, তাদের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জয়পুরহাট থানার মামলায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া গত ২০ জুলাই একই থানায় আরেকটি মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশ ও বিভিন্ন দোকানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল ছুঁড়ে মারার অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

পাঁচবিবি ও আক্কেলপুর থানায় একই দিন গত ২২ জুলাই নাশকতার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। পাঁচবিবি থানায় দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৩ জনকে এবং আক্কেলপুর থানায় আসামি করা হয়েছে ১৮ জনকে।

এ ছাড়া কালাই ও ক্ষেতলাল থানাতেও একই দিন গত ২৩ জুলাই মামলা করা হয়েছে। কালাই থানার মামলায় আসামি হয়েছে ৬ জন এবং ক্ষেতলাল থানায় ১১ জন। এই দুটি মামলাও নাশকতার বলে পুলিশ জানিয়েছে। একটি মামলায় অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা উল্লেখ থাকলেও অন্য পাঁচটি মামলায় অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা উল্লেখ নেই। গ্রেপ্তারদের মধ্যে কয়েকজন জামিন পেয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

চম্পক কুমার/এমজেইউ