শেরপুরের শ্রীবরদীতে পাওনা টাকা চাওয়ায় নানার লাঠির আঘাতে এক নাতি নিহত হয়েছেন। নিহত ওই নাতির নাম নাজমুল ইসলাম (৩২)। শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে উপজেলার তাতিহাটি ইউনিয়নের চককাউরিয়া বনপাড়া গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।

নিহত নাজমুল ওই গ্রামের রহুল আমিনের ছেলে। এ ঘটনায় প্রতিবেশী ও নানীর ছোট ভাই জাফর মিয়াকে (৪৫) ও ভাবী রেনুকা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে প্রাইভেটকার কেনার জন্য মৃত আব্দুল হকের ছেলে জাফর তার বড় বোন মাজেদা বেগমের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নেয়। সম্প্রতি ওই পাওনা টাকা নিয়ে মাজেদা বেগমের ছেলে নাজমুলের সাথে তার নানা জাফর মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় জাফর মিয়া ঢাকা থেকে বাড়ি এসে পরিকল্পিতভাবে নাজমুলের বাড়িতে গিয়ে তার ওপর হামলা করে। এতে গুরুতর আহত হয় নাজমুল।

এ সময় নাজমুলের মা মাজেদা বেগম, সাত মাসের গর্ভবর্তী স্ত্রী শাকিলা বেগম ও নানী আবেদা বেগম বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়। পরে আশপাশের লোকজন এসে গুরুতর আহত অবস্থায় নাজমুলকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

এ সময় দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। পরে সেখান থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে রাতেই মারা যায় নাজমুল। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহতের নানা জাফর মিয়া ও তার ভাবী রেনুকাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে নিহতের নানী আবেদা বেগম বলেন, পাওনা টাকা চাইছে। এরজন্য হঠাৎ করে জাফর, আইয়ুব আলী, সোহাগ ও সোহান বাড়িতে আইসা হামলা করে। আমরা ফিরাতে গেলে আমগরেও মারছে। আমরা হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই ইয়াছিন হোসেন বাবলু বাদী হয়ে জাফর ও রেনুকা বেগম গংদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নাইমুর রহমান তালুকদার/টিএম