বরিশাল জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ৭টি মামলায় পাঁচদিনে মোট গ্রেপ্তার দাঁড়িয়েছে ১২১ জনে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় বরিশাল মেট্রোপলিটন জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এই তথ্য জানান।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার প্রণয় রায় বলেন, ২৪ ঘণ্টায় ৪ জনসহ মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে মোট ৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাশকতার অভিযোগে পুলিশের করা চারটি ও এক আওয়ামী লীগ নেতার করা একটি মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, বাকেরগঞ্জ ও বানারীপাড়ায় হওয়া দুটি মামলায় নতুন করে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে পাঁচদিনে ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ। মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

জানা গেছে, গ্রেপ্তার ১২১ জনের মধ্যে বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব, জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান লিংকন, উত্তর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সালাহ উদ্দীন টিপলু, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক নওশাদ নান্টু, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্যসচিব হানিফ হাওলাদার, ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. তছলিম, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল সিকদার, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব সাইদুর রহমান সবুজ, শ্রমিকদলের মহানগর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলী হোসেন রয়েছেন।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৭ ও ১৮ জুলাই নথুল্লাবাদ, চৌমাথা, সিএন্ডবি পুল ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দিনব্যাপী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ ২৮৯ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এ সময় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল পুলিশ বক্স, চৌমাথা পুলিশ বক্স, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পে হামলা ও ভাঙচুর হয়। এ ছাড়া দুটি মোটরসাইকেল, একটি পিকআপ ভ্যান, একটি ট্রাক ও ১০টি সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়েছে। এসব ঘটনায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় দুটি, বন্দর থানায় একটি ও বিমানবন্দর থানায় নাশকতার অভিযোগে দুটি মামলা করে পুলিশ। এসব মামলায় ৭৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২ হাজার ৯৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএ