রংপুরে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢুকে পড়া দুষ্কৃতকারীদের হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় মহানগর এলাকা থেকে বিএনপি-জামায়াতের ২০ জন এবং বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ৮ দিনে ২ কাউন্সিলরসহ ১৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ২৫ জুলাই সকাল ৮ টা থকে ২৬ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরীর কুকরুল ওয়ার্ড জামায়াতের সমন্বয়ক সাখাওয়াত হোসেনসহ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে মহানগরীতে ১৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। 

আবু মারুফ হোসেন আরও জানান, আওয়ামী লীগের মহানগর অফিসে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল কাশেম এবং জেলা অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জিনাত হোসেন লাবলু বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেছেন। দুটি মামলাতেই ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে ৫ শতাধিক অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

তিনি জানান, এ নিয়ে এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হলো ১২টি। আরও মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

অন্যদিকে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম জানান, একই সময়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৫ জন বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। গত ৮ দিনে মহানগর ও জেলায় ১৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের ৯৫ ভাগই বিএনপি ও জামায়াত এবং তাদের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থক।

রংপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান জানান, দুষ্কৃতকারীরা চিহ্নিত। নিরপরাধ কাউকেই হয়রানি কিংবা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর