কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় জামালপুরে ১০ মামলায় ২ হাজার ৪১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত পাঁচ দিনে এসব মামলায় ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা।

মামলায় উঠে আসে পুলিশের ওপর হামলা, ভাংচুর ও নাশকতা করার চেষ্টার ঘটনা। গ্রেপ্তারের সবাই বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বেশিরভাগ মামলার বাদী পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

জামালপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১০টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় ২৮০ জনের নাম উল্লেখ করে ২ হাজার ৪১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলেন- জামালপুর শহর বিএনপির সহ-সম্পাদক মনির হোসেন ফকির, বুলবুল জেনারেল হাসপাতালের মালিক ও জামায়াত নেতা মো. আশরাফুল ইসলাম বুলবুল ও শহর তাঁতীদলের সদস্য সচিব ফরাস উদ্দিন লিটন।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো.ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, গত কয়েক দিনে নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার শুরু করছেন পুলিশ। এসব মামলায় নেতাকর্মীরা সবাই ঘর বাড়ি ছাড়া রয়েছে। সেই মিথ্যা মামলা ও গণ গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাই। তা না হলে এসব ঘটনা বিএনপি রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবে।  

জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. সোহেল মাহমুদ বলেন, জামালপুর জেলায় ১০টা মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় ২৭০ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রকিব হাসান নয়ন/আরকে