নোয়াখালীতে আজ (শুক্রবার) সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে কারফিউ। ফলে এদিন সকাল ৬টার আগ পর্যন্ত এবং রাত ৮টার পর থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংসতা ফলে সারা দেশে কারফিউ থাকলেও নোয়াখালী জেলায় ব্যতিক্রম অবস্থা বিরাজ করছে। কোনো সহিংসতা না হওয়ায় জনমনে শান্তি বিরাজ করছে। ফলে নোয়াখালীতে কারফিউ দিনভর শিথিল থাকছে, তবে সতর্কতার জন্য রাতে কারফিউ জারি করেছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করেছেন তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলমান কারফিউ শিথিল রাখা হয়। ফলে সকাল থেকেই জেলা শহরে জীবনযাত্রা ছিল স্বাভাবিক। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বিপণিবিতান, ব্যাংক-বিমা, আদালতে স্বাভাবিকভাবেই কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিশেষ বেশকিছু দিন পর শ্রমজীবী মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। এদিকে কারফিউ শিথিলের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকাসহ দূরপাল্লার যানবাহনও চলেছে সময়মতো। তবে সন্ধ্যার পর কারফিউ বহাল থাকায় কোনো যানবাহন চলাচল করেনি।

রিকশা চালক বাবর আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাতে ছেলে মেয়ে নিয়ে বাড়িতে থাকি। সারাদিনে যা আয় হয় তা দিয়ে চলি। গত কয়েকদিন আয় ছিল না। এখন দিনে কারফিউ না থাকায় আয় হচ্ছে। যা পাই তাতেই আলহামদুলিল্লাহ।

বেসরকারি চাকরিজীবী তোফায়েল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, নোয়াখালীতে দিনের বেলায় কারফিউ মুক্ত থাকায় মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করেছে। সারাদিন মানুষ নির্বিঘ্নে প্রয়োজনীয় কাজ করতে পেরেছে। আমরা সবাই সচেতন হলে তাহলে আগামীতে কারফিউ থাকবে না বলে আমি মনে করি।

জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, কোটা আন্দোলন ঘিরে নোয়াখালীর কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জেলার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবারও আশা করি সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে। এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।

হাসিব আল আমিন/এমএ