পিরোজপুরের নাজিরপুরে কবুতর চুরির অপবাদ দিয়ে মো. সিয়াম ফকির (১১) নামের এক শিশুকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের কালিকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নাজিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আটকরা হলেন- উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের কালিকাঠি গ্রামের মৃত মন্নান মল্লিকের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৫৬) ও তার মেয়ে লাবনী আক্তার (২৬)।

ভুক্তভোগী সিয়ামের ফুফু কুরছিয়া বেগম জানান, আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি খবর পান সকাল ৬টার দিকে কবুতর চুরির অপবাদ দিয়ে তার ভাতিজা সিয়ামকে তাদের বাড়ির পাশের মৃত মন্নান মল্লিকের স্ত্রী ফিরোজা বেগম ও তার মেয়ে লাবনী আক্তার বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেছে। সেখানে গিয়ে দেখতে পান তার সামনেই অভিযুক্ত মা ও মেয়ে সিয়ামকে গাছে বেঁধে সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা মারধর করছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী রুবেল ব্যাপারী বলেন, ওই শিশুটিকে মারধরের চিৎকার শুনতে পেয়ে আমি সেখানে গেলে মা ও মেয়ে আমাকেও মারধর করতে তেড়ে আসেন। পরে থানা পুলিশের সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জিন্নাত তাসনিম বলেন, শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযুক্ত আটক ওই দুই নারী থানায় বসে জানান, ওই শিশুটি তাদের ২০টি কবুতর চুরি করেছে। তাকে মারধর করা হয়নি, শুধু বেঁধে রাখা হয়েছে।

উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য ফারুক হোসেন হাওলাদার বলেন, বাবা-মায়ের মধ্যে সম্পর্ক ভালো না থাকায় শিশুটি তার দাদির কাছে থাকে। আজ সকালে অভিযুক্তরা শিশুটিকে তার দাদির কাছ থেকে ধরে নিয়ে এসে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে।

এ বিষয়ে নাজিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ভুক্তভোগীকে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ওই শিশুকে মারধরের অভিযোগে মা-মেয়েকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মামা অহিদুল শেখ বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এমজেইউ