নারায়ণগঞ্জে কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নাশকতা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৯টি মামলা করা হয়েছে। গত সোমবার (২২ জুলাই) রাতে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। এসব মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা, মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। মামলায় ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পুরো জেলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩০৯ জনকে। 

গতকাল বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে  নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল এসব তথ্য জানান।

গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, সহিংসতা, নাশকতার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে জেলাজুড়ে চিরুনি অভিযান চলছে। কোনো সাধারণ ছাত্র এসব নাশকতায় জড়িত ছিল না। দুষ্কৃতকারীরা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ১৮-১৯ জুলাই বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা পুড়িয়েছে তারা। শুরু থেকেই তাদের প্রতিরোধ করে আসছি। তাণ্ডব চালাতে বাইরে থেকে লোক ভাড়া করে আনা হয়েছিল৷ গ্রেপ্তারকৃতরা নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। 

তিনি বলেন, ফতুল্লা থানা যুবদল নেতা মামুন ও জামায়াত নেতা মাসুদ মেম্বারের নেতৃত্বে সহিংসতা-নাশকতা চালানো হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে গ্রেপ্তারকৃতরা। তাদের প্রধান নির্দেশদাতা ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন। এছাড়াও ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল আলম সজল।

অভিযান চলমান থাকবে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করেছে দুষ্কৃতকারীরা। নাশকতা চালানো বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।

শিপন সিকদার/আরএআর