ছয় দিন পার হয়ে গেলেও মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পদ্মা নদীতে স্পিডবোট উল্টে নিখোঁজ মেজবা উদ্দিন (৫৬) নামের নৌ-পুলিশের কনস্টেবলের সন্ধান মেলেনি। গত ১৯ জুলাই বিকেলে পদ্মা নদীর হাজরা চ্যানেলে এই ঘটনা ঘটে। 

নিখোঁজ মেজবা উদ্দিন চরজানাজাত নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবল হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তার বাড়ি বরিশালের ঝালকাঠি জেলায়। শিবচরের চরজানাজাত নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সালাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চরজানাজাত নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ও কারফিউ থাকায় গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে ট্রলারে করে যাত্রীরা পদ্মা নদী পার হচ্ছেন এমন খবর নৌ-পুলিশের কাছে এলে চরজানাজাত নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ইলিয়াস, এএসআই সুমন, কনস্টেবল নূরে আলম, আতাউর রহমান, মেজবা উদ্দিন ও মাইনুলসহ একটি দল স্পিডবোট নিয়ে পদ্মায় টহলে যান। নদীর হাজরা চ্যানেলে তীব্র স্রোত ও ঢেউয়ের ধাক্কায় স্পিডবোটটি উল্টে যায়। স্পিডবোটটি উল্টে যাওয়ার সময় নদীতে থাকা একটি ট্রলার এগিয়ে এলে অন্যরা সাঁতরে ট্রলারে উঠতে পারলেও মেজবা উদ্দিন তলিয়ে যান। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) পর্যন্ত নিখোঁজ কনস্টেবলের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে নৌ-পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও বিআইডব্লিউটিএ।

শিবচরের চরজানাজাত নৌ-পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সালাম বলেন, দুর্ঘটনার পরই আমরা পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কোথাও তার মরদেহের সন্ধান মেলেনি। দুর্ঘটনার পর খবর পেয়ে মেজবা উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা এসেছিলেন। এ দুর্ঘটনায় আমরা সবাই ব্যথিত।

শিবচরের চরজানাজাত নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, গত শুক্রবার বিকেলে নৌ-পুলিশের একটি দল স্পিডবোট নিয়ে পদ্মা নদীতে টহলে যায়। হঠাৎ পদ্মার ঢেউয়ে স্পিডবোটটি উল্টে যায়। দুর্ঘটনার পরপরই পদ্মার বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করা হয়। কিন্তু মেজবা উদ্দিনের সন্ধান এখনো মেলেনি। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সঙ্গে থাকা বাকিরা সুস্থ আছেন।

সাইফ রুদাদ/এমজেইউ