ফরিদপুরে মধুমতি নদীতে ভাসমান অবস্থায় এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের বকশিপুর-গয়েশপুর এলাকায় মধুমতি নদীতে মরদেহটি দেখতে পান এলাকাবাসী। খবর পেয়ে মৃতের স্বজনরা মরদেহ উদ্ধার করে।

নদীতে ডুবে মৃত্যু হওয়া ওই স্কুলছাত্রের নাম আবীর মোল্লা (৯)। সে মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের বরুচারা গ্রামের বাসিন্দা রিকশা ও সাইকেল মেকানিক রমজান মোল্লার ছেলে। তিন বোনের পর জন্ম নেওয়া অবীর ছিল সবার ছোট ও অতি আদরের।

ওই এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আবীর সাঁতার জানতো না। গতকাল বুধবার দুপুর ২টার দিকে মাগুরার শ্রীপুরে গড়াই নদীতে গোসল করতে গিয়ে সে পানিতে ডুবে যায়। এলাকাবাসী নদীতে খোঁজাখুজি করে আবীরকে উদ্ধার করতে না পেরে শ্রীপুর দমকল বাহিনীকে খবর দেয়। বিকেল ৪টার থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দমকল বাহিনীর ডুবুরিরা নদীতে তল্লাশী করে আবীরের কোনো সন্ধান বের করতে পারেনি।

শ্রীপুর দমকল বাহিনীর স্টেশন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, ওই শিশু শিক্ষার্থী ডুবে যাওয়ার পর খুলনা থেকে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি ডুবুরি দল বুধবার বিকেল ৪টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তবে তিন ঘণ্টা চেষ্টা করে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে আবীরের মরদেহ ফরিদপুরের মধুখালির বকশিপুর-গয়েশপুর এলাকায় গড়াই নদীর ভাটিতে মধুমতি নদীতে ভেসে ওঠে। পরে পরিবারের সদস্যরা লাশটি বাড়িতে এনে দাফন দেয়।

মাগুরার শ্রীপুরের দাড়িয়াপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল সবুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিন মেয়ের পর আবীর ছিল একমাত্র ছেলে। তাই মা-বাবার পাশাপাশি বোনদেরও অতি আদরের ছোট ভাই ছিল সে। আবীরের মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি প্রতিবেশীরা শোকে মুহ্যমান। 

জহির হোসেন/আরকে