চলমান সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান কারফিউ জারির ষষ্ঠ দিনে নোয়াখালী জেলায় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে। ফলে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার আগ পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে।

বুধবার (২৪ জুলাই) রাতে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংসতা ফলে সারাদেশে কারফিউ থাকলেও নোয়াখালী জেলায় ব্যতীক্রম অবস্থা বিরাজ করছে। কোনো সহিংসতা না হওয়ায় জনমনে শান্তি বিরাজ করছে। ফলে নোয়াখালীতে কারফিউ দিনভর শিথিল থাকছে তবে সতর্কতার জন্য রাতে কারফিউ জারি করেছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। অর্থাৎ ২৫ জুলাই সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করেছেন তিনি। তবে দেশজুড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও কারফিউয়ের কারণে নোয়াখালীতেও এর প্রভাব পড়েছে। 

নির্মাণ শ্রমিক বেলায়েত হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি দিনমজুর মানুষ। যা প্রতিদিন আয় করি তা দিয়ে সংসার চলে। নোয়াখালীতে কোথাও মিছিল মিটিং এ পুলিশ বাধা দেয়নি। কোথাও ঝামেলা হয়নি। তবে কারফিউয়ের কারণে আমাদের কোনো কাজ হয়নি। খুব কষ্টে দিনাতিপাত করেছি।

ব্যাংকার সাজ্জাদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২৪ জুলাই নোয়াখালী দিনের বেলায় কারফিউ মুক্ত ছিল। ফলে মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করেছে। সারাদিন মানুষ নির্বিঘ্নে প্রয়োজনীয় কাজ করতে পেরেছি। দিনের বেলায় ব্যাংকে বেশ চাপ ছিল।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান  বলেন, নোয়াখালী জেলার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নোয়াখালীর কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রায় আট শতাধিক সেনাবাহিনীর সদস্য মাঠে রয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। আমি মনে করি এভাবে চলতে থাকলে সামনে নোয়াখালীতে কারফিউ রাখার প্রয়োজন হবে না।

হাসিব আল আমিন/আরকে