ময়মনসিংহে কোটাবিরোধী আন্দোলনে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এর মধ‍্যে গৌরীপুরে নিহত হয়েছেন তিন জন এবং ফুলপুরে একজন এবং সদরে একজন। এছাড়াও গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অর্ধশত মানুষ। 

জেলার গৌরীপুর, ফুলপুর ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) ঢাকা পোস্টকে  এসব তথ‍্য নিশ্চিত করেছেন। 

গত ১৯ ও ২০ জুলাই ময়মনসিংহ সদর, ফুলপুর ও গৌরীপুর উপজেলায় পৃথক পৃথক সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ময়মনসিংহ নগরীর আকুয়া চৌরাঙ্গী মোড় এলাকার মো. আসাদ মিয়ার ছেলে রিদোয়ান হোসেন সাগর (১৯), গৌরীপুরের কাওরাট গ্রামের মো. আনার উদ্দিনের ছেলে জোবায়ের হোসেন (১৮), একই উপজেলার দামগাঁও গ্রামের মো. বাবুল মিয়ার ছেলে বিপ্লব (১৮), গৌরীপুর চূড়ালী গ্রামের আব্দুল হেকিম মুন্সির ছেলে রাকিব (১৯) এবং ফুলপুর উপজেলার চর ডাকিরকান্দা গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪২)। এদের মধ‍্যে নিহত সাইফুল ইসলাম ছাড়া বাকি চারজন কলেজ শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গত ১৯ জুলাই বিকেলে নগরীর মিন্টু কলেজ সড়ক এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন সাগর নামের এক শিক্ষার্থী। এতে আহত হন আরও অনেকেই।

এ ঘটনার পরদিন ২০ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গৌরীপুর উপজেলার কলতাপাড়া বাজার এলাকায় কারফিউ ভঙ্গ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করলে দুই পক্ষের মধ‍্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়লে কমপক্ষে ২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বিপ্লব, জোবায়ের ও রাকিব নামের তিন শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় গৌরীপুর থানার ওসি সুমন চন্দ্র রায়সহ আহত হন পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের অনেকেই।

একইদিনে জেলার ফুলপুর উপজেলা সদরের বাসস্ট‍্যান্ড এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে আন্দোলনকারীদের। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সাইফুল ইসলাম নামে এক পথচারী কৃষক নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হন কমপক্ষে ১৫ জন।

আরএআর