টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর-গোপালপুর ভায়া ফলদা সড়কটি যেন অভিশাপে পরিণত হয়েছে স্থানীয়দের কাছে। সংস্কার কাজে অনিয়ম এবং কাজ শেষ না করে ফেলে রাখায় সড়কটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। 

ভূঞাপুর-গোপালপুর ভায়া ফলদা সড়কে সরেজমিনে দেখা যায়, টেপিবাড়ি হতে মোদন মোড় পর্যন্ত অনেকস্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কজুড়েই খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। এই সড়কে চলাচল করতে গিয়ে অনেক পরিবহন গর্ত ও খানাখন্দে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২১ সালে ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের টেপিবাড়ি হতে ভূঞাপুর-গোপালপুর ভায়া ফলদা বাজার ৫ কিলোমিটার ৩৯০ মিটার সড়কের ৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ করেন নেত্রকোণা জেলার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স শেখ হেমায়েত আলী। পরে সাব ঠিকাদার হিসেবে সড়কের সংস্কার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাহেরুল ইসলাম তোতা। এতে সড়কের দুইপাশে এক ফুট করে বাড়ানো অংশে নতুন করে ৪ ইঞ্চি ইটের খোয়া ফেলানোর কথা থাকলেও সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। এরপরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় পরপর দুইবার কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। পরে সড়কের পুরো সংস্কার কাজ শেষ না করেই বিল তুলে নেয় ঠিকাদার।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৪ কোটি টাকার ব্যয়ে সংস্কার করেও কোনো কাজেই আসেনি। যেমন সড়ক তেমনই আছে। মাঝখান থেকে শুধু 
সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্ছা গেছে। অসাধু এলজিইডির কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে সড়কে নিম্নমানের কাজ করা হয়েছে। সংস্কারের কয়েকদিন পরই সড়কে গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

সড়কের চলাচল করা অটোরিকশাচালক আমিনুল ইসলাম, মোবারক, সেলিম বলেন, ভূঞাপুর-গোপালপুর সড়কের টেপিবাড়ি হতে ফলদা ব্রিজ পাড় পর্যন্ত সড়কের চলাচল করা খুবই কষ্ট। সড়কের মাঝে মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বিভিন্নস্থানে খানাখন্দে ভরা। এতে গাড়ির বিকল ও নষ্ট হয়ে যায়। ওই সড়কের বড় গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এই বিষয়ে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে তিনি জানান, ওই সড়কটির বেহাল দশার বিষয়ে জানা নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ বলেন, সড়কটির অনেক অংশে যানচলাচলে অনুপযোগী। সড়কটির বেহাল দশার বিষয়টি সমাধানের লক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

অভিজিৎ ঘোষ/আরকে