কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, নাশকতা ও সংঘর্ষের অভিযোগে জামালপুরের চার থানায় ২ হাজার ৩০৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় এ পর্যন্ত বিএনপি নেতাসহ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জানা যায়, গত ১৯ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত জেলার সদর থানাসহ চার থানায় আট মামলায় ২ হাজার ৩০৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।

জেলার সদর থানায় পাঁচটি মামলায় আসামির সংখ্যা ২ হাজার ১৩৯ জন। এর মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনকে প্রধান করে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ২২ জনের মধ্যে শহর বিএনপির সহ-সম্পাদক মনির হোসেন ওরফে ফকির (৪৪), শহর তাঁতী দলের সদস্যসচিব ফরাস উদ্দিন লিটন (৪৭), যুবদলকর্মী রাসেল (৩৮), ছাত্রদল নেতা হাসিদুর রহমান (২৫) রয়েছেন। ইসলামপুর, সরিষাবাড়ি ও বকশিগঞ্জ থানায় এখন পর্যন্ত তিনটি নাশকতার মামলা দায়ের হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, জামালপুরে তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আন্দোলন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অথচ মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অস্ত্র নিয়ে মহড়া করে ত্রাসের সৃষ্টি করে। আমাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা করে এবং আমাদের কর্মীকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছে। উল্টো আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

জামালপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহব্বত কবির বলেন, গত কয়েক দিনের ঘটনায় আমাদের কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালিয়েছে ও নাশকতা করেছে। এসব ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।

রকিব হাসান নয়ন/এমজেইউ