ছবি- সংগৃহীত

নরসিংদীতে কোটা আন্দোলনকারী ও পুলিশের সংঘর্ষে তাহমিদ নামে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১৫ জন শিক্ষার্থী।

নিহত তাহমিদ শহরের একে এম স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে নরসিংদী জেলখানা মোড়ে কোটা আন্দোলনের একটি মিছিল নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জেলখানা মোড়ে প্রবেশ করেন। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করে। একপর্যায়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় মিছিলটি। এরপর জেলখানা মোড়ে চারদিক থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। আশপাশে দোকানপাটসহ পুলিশ বক্সে ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটান শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা নরসিংদী-ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম ও মো. মাহফুজ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে গুলি চালায়। নির্বিচারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ ও গুলি করে। এতে আমাদের তাহমিদ নিহত হয়েছে এবং ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছেন। আমার ভাইদের রক্তে রঞ্জিত হয়ে গিয়েছে রাজপথ। একটি স্বাধীন দেশে আমাদেরকে এভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যার অধিকার কে দিয়েছে তাদের! আমরা অবৈধ কোটার জন্য জীবন দিতে পারি। দেখি কতজনকে মারতে পারে পুলিশ। আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

তন্ময় সাহা/এমজেইউ