সাভারে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পথচারীসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়রাও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ডে, পাখিজার মোড় ও রেডিও কলোনি ও স্মরণীকা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শিক্ষার্থীরা জানান, গতকালে ঘোষণা অনুযায়ী শাটডাউনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে পাকিজা এলাকায় শিক্ষার্থীরা অবরোধ করে। পরে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এসে বাধা দেয়। এতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ লিপ্ত হয়। পরে পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় শিক্ষার্থীরা সাভারের বাজার রোড়ের মাথায়, স্মরণীকা ও রেড়িও কলোনি এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশ ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য গুলি করেছে। এতে অন্তত ৫ জন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুপুর ২টার দিকে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলমান।

এ ঘটনায় সাভার মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) নয়ন কারকুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাভারে কয়েকটি পয়েন্টে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে পুলিশ সরে এলেই আন্দোলনকারীরা সড়কে এসে অবরোধ করছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

এর আগে, বুধবার রাত পৌনে ৮টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচি অনুযায়ী, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে এবং রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোনো যানবাহন চলবে না বলে জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেশ সহিংস রূপ নেয়। এদিন ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হন। আহত হন কয়েকশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

লোটন আচার্য্য/আরকে