সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের রায় বাতিল ও কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের জন্য গায়েবানা জানাজাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঝিনাইদহ প্রিয়া সিনেমা হল চত্বরে এ জানাজার নামাজের আয়োজন করে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি। 

কোটা সংস্কারের দাবিতে মিছিলটি শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় কবরস্থানের সামনে গেলে পুলিশি বাধায় সেখান থেকে ফিরে শিশু একাডেমির সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হাতে বিভিন্ন ধরনে কাঠের লাঠি ও প্লাস্টিকের পাইপ দেখা যায়। শিক্ষার্থীরা জানান, আগে তারা খালি হাতে রাস্তায় নামতে গিয়ে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন। এ জন্য আত্মরক্ষার্থে এগুলো আনা হয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সাইদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, মঙ্গলবার উজির আলী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মিছিল বের করতে গেলে ছাত্রলীগ অতর্কিতে হামলা চালায়। এজন্য আজ নিজেদের সুরক্ষার জন্য হাতে লাঠি তুলতে বাধ্য হয়েছি। এটাকে ভিন্ন ভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই।

গায়েবানা জানাজায় জেলা বিএনপির সভাপতি এম-এ মজিদ বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপির সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপরে যে বর্বরোচিত হামলা হয়েছে। হামলায় ৬ জন শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর এমন হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বিনা ভোটের সরকার সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলনকে রোধ করতে ছাত্রলীগ নামের গুন্ডা বাহিনীকে দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। আশা করি এই আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীরাই জয়ী হবে। 

ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আবিদুর রহমান বলেন, ছাত্ররা আমাদের ভবিষ্যত। তারাই আমাদের দেশের সম্পদ। আজকে যদি শিক্ষার্থীদের কিছু হয়ে যায়, তাহলে তাদের পরিবারই সাফার করবে। এজন্য অনেক কষ্ট করে শিক্ষার্থীদের বোঝালাম, আন্দোলন চলছে, তাদের যদি কোন বক্তব্য থাকে তাহলে সংবাদপত্র বা টেলিভিশনে বক্তব্যের মাধ্যমে তারা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারে। আমরা তাদের বোঝাতে পেরেছি। এজন্য তারা মিছিল নিয়ে ফিরে গেছে। 

আব্দুল্লাহ আল মামুন/এনএফ