শেরপুরে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ-সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) বিকেল থেকে কিছুক্ষণ পর পর শহরের নিউমার্কেট মোড়, থানা মোড় ও চকবাজারে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

এর আগে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিকেল ৩টায় শেরপুর সরকারি কলেজে অবস্থান নেন। সেখান থেকে মিছিল শুরু করে শহরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণের সময় ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। ইট-পাটকেল নিক্ষেপে এক সাংবাদিকসহ দুই গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হন। 

এছাড়াও শেরপুর জেলা আনসার ভিডিপির অফিস, পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়েছে। শেরপুর নিউমার্কেট থানার মোড়ে রাস্তা বিভিন্ন জায়গায় আগুন দেওয়া হয়। বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। শেরপুর শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। শহরে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করে। এ সময় ডিবি পুলিশের ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং রাস্তায় আগুন দেন শিক্ষার্থীরা। পরে ফের শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। ওই সময় দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। এভাবে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। পুরো শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাইদুর রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজনের অবস্থা খুবই গুরুতর।

আরএআর