কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে যশোরের বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থী। বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তারা। পরে শহরতলীর চাঁচড়া চেকপোস্ট মোড়ে মহাসড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা দুপুর ১২টা থেকে চাঁচড়া চেকপোস্ট মোড়ে (যশোর-ঢাকা- বেনাপোল-খুলনার) তিন রাস্তার সংযোগস্থল অবরোধ করেন। এতে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলের সঙ্গে সড়কপথে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে ১০ কিলোমিটারেরও বেশি ঢাকাগামী যানবাহনের জট সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি আটকা পড়েছে ভারত থেকে আগত ঢাকাগামী পাসপোর্ট যাত্রীরা। অপরদিকে চাঁচড়া চেকপোস্ট থেকে খুলনাগামী ও ঢাকাগামী সড়কেও আটকা পড়ে শতশত যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন। সেখানেও বেনাপোল অভিমুখী বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাসে আটকা পড়েন ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রীরা।

ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রী দীলিপ কুমার রায় বলেন, আমি বেলা ১১টার দিকে ইমিগ্রেশন শেষে দেশ ট্রাভেলসে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হই। মাঝপথে চাঁচড়া চেকপোস্টের কাছাকাছি এসে অবরোধের কারণে যানজটে পড়েছি। প্রায় দেড় ঘণ্টা বসে আছি গাড়িতে।

আরেক পাসপোর্ট যাত্রী নেহাল তরফদার বলেন, আমি চট্টগ্রাম যাব। এখানে যদি সন্ধ্যা হয়ে যায় তাহলে চট্টগ্রাম পৌঁছাবো কখন তার কোনো ঠিক নেই। আমাদের মতো শত শত পাসপোর্ট যাত্রী এখানে অবরোধের মুখে পড়ে ভোগান্তিতে পড়েছে। 

অপরদিকে ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রী সালমান হোসেন বলেন, আমি ঢাকা থেকে সকাল ৯টায় রওনা দিয়েছি। ১২টার দিকে যশোর চাঁচড়ায় এসে অবরোধের মধ্যে আটকা পড়েছি। এখানে দেরী হলে বেনাপোল পৌঁছাতে এবং ইমিগ্রেশন করতে দেরী হয়ে যাবে। তখন ওপারে পার হতে পারব কিনা সেই চিন্তা করছি।

এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা চাঁচড়া চেকপোস্ট মোড়ে অবস্থান করে বেঞ্চ, ইট পাটকেল, লাঠিসোটা দিয়ে তিনটি রুটে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, এই স্থানে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চলবে। মহাসড়ক অবরোধ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ যশোরের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পবিত্র মহরমের ছুটিতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার সচল রয়েছে। 

এ্যান্টনি দাস অপু/আরএআর