ঠাকুরগাঁওয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে শহরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৩টার দিকে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ (বড় মাঠ) থেকে আন্দোলনকারী বিভিন্ন কলেজ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের চৌরাস্তায় গেলে অপরদিকে অবস্থান নেওয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে আন্দোলনকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জমায়েত হন। সেখান থেকে তারা আবার একটি মিছিল বের করে বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে চৌরাস্তার দিকে এগুতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তখন তারা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের সামনে বঙ্গবন্ধু সড়কে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। এ সময় তারা হঠাৎ পুলিশের বাধা অতিক্রম করে সামনে যেতে থাকলে অপরদিক থেকে আবার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করেন। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রকিবুল ইসলাম চয়ন বলেন, আমাদের এখানে ১০ থেকে ১২ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর তাদেরকে ভর্তি দেওয়া হয়। কিন্তু তারা পরক্ষণেই হাসপাতাল বেড ছেড়ে চলে যান। আমরা পরবর্তীতে চিকিৎসা দিতে গিয়ে দেখি তারা আর সেই বেডে নেই। এখন পর্যন্ত আহত যারা হয়েছেন তারা কেউই আমাদের হাসপাতালে নেই।

এ বিষয়ে জানতে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ ওয়াহিদের মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আরিফ হাসান/আরএআর