সিরাজগঞ্জে পুলিশ ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ালশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ৬ জন আহত হয়েছের। আটজনকে আটক করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। 

জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জমায়েত শেষে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি শহরের রেলগেট এলাকায় পৌঁছালে বাধা দেয় পুলিশ। পরে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ স্টেডিয়াম রোড হয়ে সদর হাসপাতাল রোড এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ছয়জন আহত হন। 

সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রোকন আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখানে পাঁচজন শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় এসেছেন। এদের মধ্যে দুজন শরীরে রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়ে এসেছেন ও তিনজন হালকা আহত। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত। 

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। পরে পুলিশ আত্মরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে আটজনকে আটক করা হয়েছে।  

এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরবর্তীতে তারা আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে টিয়ারশেল-রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। সংঘর্ষে পুলিশসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।  আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বহিরাগত কেউ এসে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

শুভ কুমার ঘোষ/আরএআর