নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার মেঘনার আরেক ইলিশ বিক্রি হলো ৭ হাজার ৭০০ টাকায়। মাছটি মাছঘাটে আনলে সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়ে কিনে নেন সাত্তার ব্যাপারী নামের এক ব্যবসায়ী।

সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চর ইশ্বর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাতান খাল বউ বাজার মাছঘাটে ইলিশটি নিলামে বিক্রি করা হয়। এ সময় ইলিশটি দেখতে মাছঘাটে ভিড় জমান স্থানীয় ও দর্শনার্থীরা।

জানা যায়, ভোলার দৌলত খা এলাকার সানু মাঝি মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এই ইলিশ মাছটি পেয়েছেন। তারপর তিনি চর ইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদের মৎস্য আড়তে নিয়ে আসেন। আবদুল হালিম আজাদ নিলামের ডাক দিলে মাছটি ৭ হাজার ৭০০ টাকায় কিনে নেন সাত্তার ব্যাপারী।

চর ইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হালিম আজাদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সানু মাঝি আমাদের আড়তে অন্যান্য মাছের সঙ্গে প্রায় আড়াই কেজি ওজনের একটি ইলিশ মাছ নিয়ে আসেন। নিলামে সাত্তার ব্যাপারী ৭ হাজার ৭০০ হাজার টাকায়  মাছটি কিনে নেন। আমাদের এখানে প্রায় দুই কেজি, আড়াই কেজি এমনকি তিন কেজি ওজনের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।

জেলে সানু মাঝি ঢাকা পোস্টকে বলেন, নদীতে ইলিশ কম পাওয়া যাচ্ছে। তবে অল্প হলেও এখন জেলেদের জালে বড় আকারের ইলিশ ধরা পড়ে। অন্যান্য মাছের সঙ্গে আজকে বড় ইলিশটি ধরা পড়ে। পরে বাতান খাল বউ বাজার মাছঘাটে নিয়ে আড়তে মাছটির ডাক উঠানো হয়। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো দাম পেয়েছি।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বড় মাছ পাওয়ার খবরে হাতিয়া উপজেলা প্রতিদিন শিরোনাম হচ্ছে। মাছ পেলে সবার মুখে হাসি ফুটে। আসলে ইলিশসহ সকল মাছই আল্লাহর নেয়ামত। বর্তমানে নদীতে মাছ কম পেলেও সামনে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে মাছ বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, রোববার (১৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে হাতিয়া উপজেলায় প্রায় ৩ কেজি ওজনের আরেকটি ইলিশ ৮ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়। 

হাসিব আল আমিন/এমজেইউ