জামালপুরে বন্যার পানিতে গোসল করতে নেমে চারজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের মাতম চলছে। চারজনের এক সঙ্গে জানাজা শেষে সামাজিক কবরস্থানে পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে ৯টায় মেলান্দহ উপজেলার দক্ষিণ বালুচর সামাজিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। এদিকে এক সঙ্গে একই বাড়িতে চারজনের মৃত্যুতে এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। গতকাল রোববার বিকেলে ৫টার দিকে মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বালুচর এলাকায় বন্যার পানিতে গোসল করতে নেমে চারজনের মৃত্যু হয়।

তারা হলেন- ওই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে দিশা আক্তার (১৭), সবুজ মিয়ার মেয়ে সাদিয়া (১০), গোলাপ আলি মেয়ে খাদিজা (১০), ও বাবুলের স্ত্রী রোকসানা (২৫)। তবে এ ঘটনায় বেঁচে ফেরেন মারিয়া নামের এক শিশু।

মৃত দিশা আক্তার স্থানীয় একটি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তো। তার বিয়েও ঠিক হয়েছিল। আগামী শুক্রবার তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। মৃত সাদিয়া ও খাদিজা তার দুজনেই দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো। আর রোকসানা দক্ষিণ বালুচর এলাকার গৃহবধূ ছিলেন।

শ্যামপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজাদ আলী বলেন, সকাল ৯টার দিকে জানাজা শেষে বালুরচর সামাজিক কবরস্থানে সবাকে পাশাপাশি কবরে দাফন করা হয়েছে। একসঙ্গে চারজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পানিতে গোসল করার সময় এতো জনের একসঙ্গে মৃত্যু আমরা কখনোই দেখিনি। 

গোসলে করতে গিয়ে প্রাণে বেঁচে ফিরে শিশুর মারিয়ার মা বলেন, রোববার বিকেলে ধানখেতের জমিতে বন্যার পানি আসায় গোসল করতে যায় সবাই। পানিতে গোসল করতে করতে এক এক করে চারজন পানিতে ডুবে যায়। আমার মেয়ে তাদের থেকে একটু দূরে ছিল। তাদের ডুবে যাওয়া দেখে সে সামনের দিকে আর আগায়নি। দ্রুত লোকজন গিয়ে দেখে দুজনের মরদেহ পানিতে ভেসে উঠেছে। আর দুইজনের মরদেহ তলিয়ে ছিল।

মেলান্দহ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, গোসল করতে গিয়ে বন্যার পানিতে ডুবে চারজনের মৃত্যু হয়। আজ সকালে তাদের দাফন শেষ করা হয়েছে।

রকিব হাসান নয়ন/আরকে