কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। খেতে মাচান থাকলেও নেই সবুজ গাছ। পানির নিচ থেকে ভেসে উঠছে পাট, পটল, আমন বীজতলা ও বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি খেত। দ্বিতীয় দফায় দীর্ঘ স্থায়ী বন্যায় জেলার ৯ উপজেলায় শুধুমাত্র কৃষিতেই ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা। 

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলার ৯ উপজেলায় শুধুমাত্র কৃষিতে ৮ হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা। আর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। অপরদিকে বন্যার পানির প্রবল স্রোতে গ্রামাঞ্চলের কাঁচা পাকা সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করছে মানুষজন। এসব গ্রামীণ কাঁচাপাকা সড়ক ও ঘর-বাড়ির ক্ষতি নিরুপণে কাজ করছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর। 

কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাই ঝাড় এলাকার কৃষক ছমির আলী বলেন, আমার এক বিঘা জমির পটলের আবাদ শেষ। এখনো বাড়ির চারিদিকে পানি। আমন বীজতলা করতে পারছি না। আমন আবাদও মনে হয় করা হবে না।

একই এলাকার কৃষক মোস্তাফা বলেন, বানের পানিতে এখনো সব জমি তলিয়ে। বীজতলা করার সময় শেষের দিকে। এবার আমাদের এলাকার কৃষক কেমন করে আবাদ করবে চিন্তায় আছি।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দ্বিতীয় দফা বন্যায় কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় কৃষি সেক্টরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করছি। এছাড়া কৃষকরা যেন আমন আবাদ ভালোভাবে করতে পারে সেই পরামর্শ দিচ্ছি। 

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, প্রায় দুই সপ্তাহ পর ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বন্যার কোনো পূর্বাভাস নেই।

জুয়েল রানা/আরকে