নীলফামারী প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সাংবাদিক মমিনুর রহমান রতন সরকারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে জেলা শহরের কাজী নজরুল ইসলাম হল (বিডি হল) সংলগ্ন প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রেসক্লাবের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম সিয়ামের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় সূচনা বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নূর আলম। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মাহমুদ আল হাসান রাফিনের সভাপতিত্বে স্মৃতিচারণে অংশ নেন প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।

বক্তব্য দেন জিটিভির মনিরুল হাসান শাহ আপেল, খোলা কাগজের মোশারফ হোসেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের আব্দুল বারী, একাত্তর টেলিভিশনের বিজয় চক্রবর্তী কাজল, এটিএন নিউজের মিল্লাদুর রহমান মামুন, প্রথম আলোর মীর মাহমুদুল হাসান আস্তাক, প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক আবুল হোসেন, রতন সরকারের ছোট ভাই ওয়াজেদুর রহমান কনক, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি হাকিম মোস্তাফিজুর রহমান।

সভায় বক্তারা রতন সরকারের কর্মময় জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন। এ সময় রতন সরকারের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা এবং তার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলোর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন অনেকেই। আবার অনেকে আবেগি হয়ে পড়েন। এর মাঝে অনেকেই রতন সরকারের হাত ধরে কীভাবে সাংবাদিকতার জগতে এসেছেন সেটিও তুলে ধরেন।

পরে স্মরণসভা শেষে প্রয়াত রতন সরকারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

রতন সরকার নীলফামারী শহরের প্রগতিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। রতন সরকার ১৯৯০ সালে নীলফামারী থেকে প্রকাশিত নীলসাগর পত্রিকায় কাজ করার মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হন। এরপর তিনি দৈনিক করতোয়া পত্রিকার নীলফামারী প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। এরপর রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক পরিবেশ, বিজলী, দাবানল ও সংবাদের নীলফামারী প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। পরে তিনি এটিএন বাংলার নীলফামারী প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন। কর্মদক্ষতার গুণে নিউজ চ্যানেল সিএসবিতে বগুড়ায় দায়িত্ব পালন করেন। এরপর সিএসবি বন্ধ হয়ে গেলে আবারও এটিএন নিউজে রংপুর প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন। এরপর সময় টেলিভিশনের রংপুরের দায়িত্ব পান। পরে কর্মক্ষমতা ও দক্ষতার গুণে তিনি রংপুর ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব পান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওই পদে কর্মরত ছিলেন। টেলিভিশনে স্ক্রিপ্ট লেখা ও লাইভ কাভারেজে দক্ষ ছিলেন রতন সরকার। এ ছাড়া তিনি অনেক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে দেশব্যাপী ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছিলেন।

শরিফুল ইসলাম/এমজেইউ