গত তিন দিন ধরে তীব্র গ্যাসের সংকটে ভুগছে কুমিল্লা নগরীর বাসিন্দারা। নগরীর সিংহভাগ এলাকায় গ্যাস না থাকায় রান্না নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গৃহিণীরা। বাধ্য হয়েই হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে খাবার কিনে খাচ্ছেন তারা।

গত বুধবার (১০ জুলাই) সকালে হঠাৎ গ্যাসের চাপ কমে যায়। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। ওইদিন রাতে কম চাপে গ্যাস ফিরলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও গ্যাসশূন্য হয়ে যায়। রাতে ফিরে আবার শুক্রবার সকাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

হঠাৎ কোনো নোটিশ ছাড়াই গ্যাস নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নগরীর গৃহিণীরা। রান্না করতে না পেরে দলে দলে হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে খাবার কিনে জীবন বাঁচাচ্ছে মানুষ। যদিও গ্যাস কর্তৃপক্ষের দাবি- পাইপলাইন কাটা পড়ায় মূলত এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।

নগরীর শাকতলা এলাকার বাসিন্দা গৃহিণী তামান্না আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, বুধবার রান্নার মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ গ্যাস সংকট দেখা দেয়। ওই গ্যাসে রান্না শেষ করা সম্ভব হয়নি। পরে সব খাবার ফেলে দিয়ে হোটেল থেকে খাবার কিনে খেয়েছি।

টমছমব্রিজ এলাকার বাসিন্দা মাহবুব কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন,  সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাসা থেকে ফোন আসে গ্যাস চলে গেছে। দুপুরে বাসায় যাওয়ার সময় হোটেল থেকে খাবার নিয়ে যেতে বলে। গত তিন দিন ধরে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সমস্যা ও সমাধানের বিষয়টি গ্রাহকদের জানানো।

বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস বিভাগের ব্যবস্থাপক মীর ফজলে রাব্বী বলেন, চট্টগ্রামের আনোয়ারা এলাকায় গ্যাস সরবরাহের পাইপলাইনে ফাটল দেখা দিয়েছিল। সেটি মেরামতের কাজ শেষ হয়েছে। বিকেলের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

আরিফ আজগর/আরএআর