বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, কেউ চায়ের অবৈধ ব্যবসা করলে এবং এর সত্যতা পেলে সেই কারখানার লাইসেন্সসহ সংশ্লিষ্টদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত উত্তরাঞ্চলের চা শিল্পে সম্পৃক্ত অংশীজনদের নিয়ে পঞ্চগড়ে ‘চায়ের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ করণীয় ও চা আইন-২০১৬ অবহিতকরণ’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, বিভিন্ন আলোচনা শেষে বেরিয়ে এসেছে যে অবৈধ ব্যবসা আমরা কখনো সাপোর্ট করি না। কেউ যদি অবৈধ ব্যবসা করে তবে এটা বন্ধ করার দায়িত্ব শুধু আমাদের না, এ দায়িত্ব সবার। এজন্য সবাইকে ২০১৬ সালের চা আইন পড়তে হবে।

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে একটি শুনানি করা হয়েছে। সে শুনানিতে একটি কারখানার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে যারা চা সাপ্লাই ও যে ওয়ার হাউস থেকে নেওয়া হয়েছে তাদের ডাকা হয়। ফ্যাক্টরি বলছে, এটা আমার না, কিন্তু তাদের সিল রয়েছে। যারা ক্ষুদ্র পাইকারি ব্যবসা করে তাদের নিয়ে শুনানি করে যারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছে তাদের লাইসেন্স আমরা বাতিল করেছি। এর মাধ্যমে আমি একটা বার্তা দিতে চাই, আপনারা ২০১৬ সালের চা আইন পড়বেন। আর অদূর ভবিষ্যতে লাইসেন্স বাতিলসহ আরও বড় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অনুষ্ঠিত কর্মশালায় উপস্থিত থেকে মতামত তুলে ধরেন জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিরুল্লাহ, স্মল টি অনার্স অ্যান্ড টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম খোকন, বটলিফ টি কারখানার সভাপতি সৈয়দ আবুল মনসুর, চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন, ক্ষুদ্র চা চাষি, বিডার, বায়ার এবং ওয়্যার হাউসের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টবৃন্দ।

কর্মশালায় তারা নিজেদের সমস্যা-সম্ভাবনা ও কৃষকদের সঠিক দাম পাওয়া নিয়ে নিজের মতামত উপস্থাপন করেন।

কর্মশালায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন কৃষকদের ভালো মানের চা পাতা কারখানায় সরবরাহ, কারখানা মালিকদের গুণগতমানের চা তৈরি, কৃষকদের চায়ের সঠিক দাম প্রদান ও চা আইন ২০১৬ সম্পর্কে চা সংশ্লিষ্টদের অবগত করা ও প্রজেক্টরের মাধ্যমে তথ্যচিত্র প্রদর্শন করেন।

এসকে দোয়েল/এমজেইউ