ইনসেটে যুবলীগ নেতা এরশাদ হোসেন

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় এনআরবি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যানার সাঁটিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের অপরাধে মূলহোতা যুবলীগ নেতাসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে উপজেলা সদরের ভাদাই ইউনিয়নের মাস্টারপাড়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের টেপা পলাশী গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে মূলহোতা ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সম্পাদক এরশাদ হোসেন (৪২), একই ইউনিয়নের দেওডোবা গ্রামের এরশাদ আলীর স্ত্রী মাসুমা ইয়াসমিন (৩৫), বাওয়াইর চওড়া গ্রামের খৈমুদ্দিনের স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে ফিরোজা বেগম (৪৫) ও গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকার আকাশের স্ত্রী বর্ষা বেগম (২২)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার চন্দনপাট গ্রামের মনসুর উদ্দিন উপজেলা সদরের মাস্টারপাড়া এলাকায় বাসা করে ভাড়া দেন, যা তত্ত্বাবধান করেন তার বন্ধু পশ্চিম দৌলজোর দাখিল মাদরাসার শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম। নির্জন এলাকার চার রুমের বাসাটি পুরো চলতি মাসে ভাড়া নেন মাসুমার স্বামী এরশাদ আলী। সেখানে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি আদিতমারী শাখা অফিস হিসেবে সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়। নামে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি হলেও ভেতরে চলত যুবলীগ নেতা এরশাদ হোসেনের নেতৃত্বে অসামাজিক কার্যকলাপ ও মদের আসর।

এমন সন্দেহে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে আদিতমারী থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে যুবলীগ নেতা ও তিন নারীকে আটক করে। ইন্স্যুরেন্স অফিস হলেও সেখানে কার্যক্রমের কোনো নমুনা না পেলেও অসামাজিক কাজের নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।

উক্ত বাসার তত্ত্ববধায়ক মাদরাসা শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, তারা ইন্স্যুরেন্সের অফিস করতে পুরো বাসা ভাড়া নিয়েছিল মূল মালিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলে। তবে তাদের সঙ্গে কোনো চুক্তিপত্র হয়নি।

আদিতমারী থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, আটকদের সকলে পূর্ব থেকেই অসামাজিক কাজে জড়িত ছিলেন। তারা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যানার লাগিয়ে নির্জন এ বাসা ভাড়া নিয়ে চালাত অসামাজিক কার্যক্রম। তদন্ত করে আটকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নিয়াজ আহমেদ সিপন/এমজেইউ