সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে অবস্থিত সেই বাড়ির ক্রোককৃত মালামালের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জেলা প্রশাসন। বুধবার (১০ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে বাড়িটিতে তল্লাশি শুরু হয়, যা চলে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত।

প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টাব্যাপী অভিযান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শফিকুর আলম। তিনি জানান, বাড়িটিতে বিলাসবহুল তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। নিত্য ব্যবহার্য যেসব জিনিসপত্র পাওয়া গেছে, সেসবের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তালিকাটি আদালতে পেশ করা হবে। 

এর আগে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বাড়িটির ডিজিটাল লক খুলে কক্ষগুলোতে প্রবেশ করেন দুদক ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

জানা যায়, বেনজীর প্রায় ৮ বছর আগে ওই এলাকার প্রয়াত প্রেমানন্দ সরকারের সন্তানদের কাছ থেকে ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকায় ওই জায়গাটি কিনে নেন। ২০২২ সালে এই জমিতে ওই বাড়ি করেন তিনি। বেনজীর মাঝেমধ্যেই এই বাড়িতে আসতেন, রাত্রিযাপনও করতেন। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় বাড়িটিতে কেয়ারটেকারের পাশাপাশি দুটি কুকুরও রাখা হয়েছে।

এর আগে বেনজীরের গোপালগঞ্জের বিশাল এলাকাজুড়ে রিসোর্ট, রাজধানীর গুলশানে ১০ হাজার বর্গফুটের ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট (চারটি ফ্ল্যাট একসঙ্গে), বান্দরবানে ২৫ একর বাগানবাড়িতে রিসিভার নিয়োগ দিয়ে সেগুলো তত্ত্বাবধানে নেয় প্রশাসন।

দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১২ জুন আদালত তৃতীয় দফায় বেনজীরের আরও বিপুল সম্পদ জব্দ করেছেন। সে তালিকায় এ বাংলোটিও রয়েছে। এরপর বাড়িটি দেখভালের জন্য জেলা প্রশাসককে রিসিভার নিয়োগ দেন আদালত। বাংলোটির মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।

শিপন সিকদার/আরএআর