আট ঘণ্টা পর ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ছেড়েছেন কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অবরোধে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।

তবে অবরোধ চলাকালে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সগুলো ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা। অবরোধ তুলে নেওয়ার পর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়। 

এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়।  

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, সংসদে আইন পাস না করা হলে বহাল-বাতিলের বিষয়টি চলমান থাকবে। সেক্ষেত্রে বারবার আন্দোলন করতে হবে তাদের। এজন্য তারা চান অনগ্রসর, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের মিলিয়ে ৫ শতাংশ কোটা বহাল রেখে সংসদে আইন পাস করা হোক।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সদস্য সচিব মাহফুজ ইসলাম মেঘ বলেন, আমাদের দাবি হলো সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করতে হবে। সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ন্যূনতম ৫ শতাংশ রাখতে হবে এবং এ বিষয়ে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি না মানা হবে ততক্ষণ আমরা রাজপথ ছাড়ব না। 

এর আগে চার দফা দাবিতে টানা আন্দোলন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ একই দাবিতে গত সোমবার সোয়া ৪ ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। ওই দিন চলমান চার দফা দাবিকে এক দফা দাবিতে নামিয়ে এনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার নেতারা। এক দফা দাবিতে সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার আধাঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। 

মেহেরব হোসেন/আরএআর