নকল করে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নিন্দুপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে তদন্তে এসে এবার দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের তদন্ত দল। 

মঙ্গলবার (৯জুলাই) দুপুরে  আইসিটি পরীক্ষা চলাকালে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চার সদস্যের তদন্ত দল এসে শিক্ষার্থী দুজনকে বহিষ্কার করেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেন ওই কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, ২ জুলাই বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার দিন পরীক্ষাকেন্দ্রটির তৃতীয় তলার ১০৭ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থীরা নকল করে পরীক্ষা দেওয়ার ঘটনায় আজ কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে একটি দল তদন্তে আসেন। 

এ সময় দুই পরীক্ষার্থীর এমসিকিউতে আগে থেকে দাগানো দেখে তাদের বহিষ্কার করে তদন্ত দল। তারা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নকল করে পরীক্ষা দেওয়ার ঘটনার কারণ ও জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম চালায়।

জানা গেছে, এইচএসসি বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার দিন কচুয়ার নিন্দুপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের তৃতীয় তলার ১০৭ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থীরা বাইরে থেকে উত্তরপত্র সংগ্রহ করে, আবার একজন অন্যজনের খাতা দেখে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। বিষয়টি ওই কেন্দ্রের কেউ একজন গোপনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। পরে তা প্রশাসনের নজরে আসে। 

ওইদিন ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে ওই দিনসহ প্রতিদিনই এভাবে দেখে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। প্রতিদিন এ সুযোগ পেতে কেন্দ্র সচিব ও ট্যাগ অফিসারকে টাকা প্রদান করা হতো বলেও  অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ ঘটনার পর সোমবার কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে দুই কেন্দ্রসচিবকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তারা হচ্ছেন পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল বাশার ও নিন্দুপুর মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান। 

কচুয়া নির্বাহী কর্মকর্তা এহসান মুরাদ বলেন, আজ নকল করার দায়ে দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে আমাদের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে দুই কেন্দ্রসচিবকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রত্যাহার করে কুমিল্লা শিক্ষা র্বোড। একই অভিযোগে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওই কেন্দ্রের তিন পরীক্ষা পর্যবেক্ষকে প্রত্যাহার করা হয়।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড ও চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের দুটি পৃথক দল তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক এবং শিক্ষা ও আইসিটি) বশির আহমেদের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এমএসএ