বিয়ের তিন দিন আগে বন্যার পানিতে ডুবে প্রাণ গেল যুবকের
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে মো. সোহেল মিয়া (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের নইলারঘাট এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুপুর ২টার দিকে বন্যার পানিতে নেমে গোসল করার সময় নিখোঁজ হন তিনি।
নিহত সোহেল মিয়া মেলান্দহ পৌরসভার বাড়ইপাড়া এলাকার মো. শওকত আলীর ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। ঈদে তিনি ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন। তারপর আর ঢাকায় ফিরে যাননি। আগামী শুক্রবার (১২ জুলাই) তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোহেল ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে নইলারঘাট এলাকায় বন্যার পানিতে গোসল করতে যান। গোসলের একপর্যায়ে সোহেল পানিতে ডুবে যান। সঙ্গে থাকা বন্ধুরা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে চিৎকার করলে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের বাবা শওকত মিয়া বলেন, ছেলের শুক্রবার বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করা হয়েছিল। তার আগেই এমন ঘটনা। ঢাকায় থাকতো, ঈদে বাড়িতে এসেছে আর ঢাকায় যায় নাই। গোসল করতে যেতে কয়েক নিষেধ করা হয়েছিল। কথা না শুনেই গিয়েছিল। এমন মর্মান্তিক ঘটনা মেনে নিতে পারছি না।
নিহতের চাচাতো ভাই সুজন মিয়া জানান, এলাকা থেকে সোহেল ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে অটোরিকশা ভাড়া করে নইলাঘাটে গোসল করতে যান। গোসলের একপর্যায়ে বন্যার পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে তলিয়ে যান সোহেল। বেশ কিছুদিন ধরে বিয়ের কথা চলছিল। শেষ পর্যায়ে বিয়ে ঠিক হয়েছে। আগামী শুক্রবার বিয়ের তারিখ করা হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল।
মেলান্দহ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোলায়মান হোসেন বলেন, বন্যার পানিতে গোসল করতে গিয়ে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। শুনেছি তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। সোহেলের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মেলান্দহ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজের খবর পেয়ে আমরা জামালপুরের ডুবুরি দলের প্রচেষ্টায় নিখোঁজের প্রায় দুই ঘণ্টা পর মরদেহ উদ্ধার করা করেছি।
মেলান্দহ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহাম্মদ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে। পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
রকিব হাসান নয়ন/আরএআর