নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, আমরাও গুড় খেতে চাই। আমি প্রতি বছর ১-২ মণ গুড় মাড়াই করি, কিন্তু এবার পারিনি। আমি ঢাকায় আখের গুড় দেই, অনেক নেতার বাসায় দেই। কিন্তু এবার আমরা দিতে পারিনি। এবার বলেছি লিডার, এবার আমাদের অনেক কড়াকড়ি। ডিসি-এসপি এতো কড়াকড়ি করেছে যে কিছুই করতে পারিনি। যার কারণে এবার আমাদের মাড়াই বন্ধ, গুড় দিতে পারিনি।

গতকাল সোমবার (৮ জুলাই) নাটোরের লালপুরে জেলা প্রশাসন ও নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল আয়োজিত আখ চাষ নিবিড়করণ ও মিলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই সুগার মিলে আমরা লাভ করেছি। এখানে ২০০ শ্রমিক আছে, যারা মাত্র ৪০০ টাকা হাজিরাতে চাকরি করে। ২৫ কোটি টাকা লাভ করলাম, আমার শ্রমিকের কি, কৃষকের কি? যেই শ্রমিক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করলো তাদের চাকরি স্থায়ী করছে না। এই বিষয়গুলো দেখতে হবে। তারা যদি তা না দেখে, আমরাই বা কেনো দেখবো। আমার আখ আমি বেশি টাকায় বেচবো। এক ট্রাক আখ মাড়াই করব না। কিন্তু আমার শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি যেন পায়, আখের টাকা যেন কৃষক পায়। তাছাড়া চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি আখ মাড়াই এখনো চলবে।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, কোনো প্রকার অবৈধ ক্রাশার মেশিন এগুলো চলবে না। নীতিমালা অনুযায়ী সরকারের আইন সংশোধন করা ছাড়া এটা চলার সুযোগ নেই। তবে আমাদের টার্গেটের বাহিরে অর্থাৎ সরকার নির্ধারিত সময়ের পরে যদি কোনো আখ থাকে সেগুলো ক্রাশার মেশিনে মাড়াই করা যাবে। এ বছর ও মাননীয় সংসদ সদস্য আমাকে বলেছেন, আমি বলেছি ধৈর্য ধরতে বলেন। উনারা নির্দিষ্ট সময়ের পর প্রচুর আখ মাড়াই করেছেন, সে ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। আইনের ব্যত্যয় হয়নি। 

সভায় অন্যান্যের মধ্যে পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ সাগর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. একরামুল হক, মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ মো. খবির উদ্দিন মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

গোলাম রাব্বানী/আরএআর