পিরোজপুর সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হাওলাদারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

রোববার রাতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হাওলাদার সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ আইন বিষয়ক সম্পাদক।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কার্যক্রম থাকার অভিযোগে একটি মামলা থাকায় পিরোজপুর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তা আমলে নেওয়ায় জেলা প্রশাসক স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন। এ মামলার আলোকে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের বিরুদ্ধে উল্লিখিত অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করেন। শহিদুল ইসলাম হাওলাদার কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থি।

জানা যায়, সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়নের পাঁচপাড়া বাজারে থাকা সর্বজনীন কালিমন্দির ভাঙচুর ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে মন্ত্রণালয়।

বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, লোকমুখে শুনেছি আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি হাতে পাওয়ার পর এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।

পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সরদার ফারুক আহম্মেদ জানান, পিরোজপুর সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়নের একটি সর্বজনীন কালিমন্দির ২০১৮ সালের ৭ জুলাই ভাঙচুর এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে সুভাষচন্দ্র মিস্ত্রী বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় ওই বছরের ৭ অক্টোবর একটি মামলা করেন। ওই মামলায় চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হাওলাদারকে প্রধান আসামি করা হয়। আদালত শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করলে তিনি কিছুদিন কারাভোগের পরে জামিনে মুক্তি পান।

শাফিউল মিল্লাত/এসএম