অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে জহিরুল ইসলাম নামের নামের তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের অফিস সহায়কের তিন স্ত্রীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এসময় অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়।

রোববার (৭ জুলাই) কুমিল্লার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বেগম শামসুন্নাহার এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত তার তিন স্ত্রী হলেন– মোসা. সেলিনা আক্তার, মোসা. আকলিমা আক্তার ও মোসা. আছমা আক্তার। তাদের মধ্যে সেলিনাকে ৩ বছর, আকলিমাকে ৪ বছর এবং আছমাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

জহিরুল ইসলাম ঢাকায় তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে এমএলএসএস (অফিস সহায়ক) পদে কর্মরত। তিনি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা।

দুদক কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক রোববার রাতে গণমাধ্যমকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বরাত দিয়ে তিনি জানান, ২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি জহিরুল ইসলামের স্ত্রী মোসা. সেলিনা আক্তারের বিরুদ্ধে ১২ লাখ ১২ হাজার ৩০০ টাকা, অপর স্ত্রী মোসা. আকলিমা আক্তারের বিরুদ্ধে ৩৪ লাখ ৩ হাজার টাকা এবং আরেক স্ত্রী মোসা. আছমা আক্তারের বিরুদ্ধে ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৩১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

রোববার ওই মামলার রায়ে সেলিনাকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অবৈধভাবে অর্জিত ১২ লাখ ১২ হাজার ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড, অপর স্ত্রী আকলিমাকে ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অবৈধভাবে অর্জিত সমপরিমাণ টাকা অর্থদণ্ড এবং আরেক স্ত্রী আছমাকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অবৈধভাবে অর্জিত সমপরিমাণ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিদের দেওয়া অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করেছেন আদালত।

ফজলুল হক আরও জানান, মামলাগুলোর দ্বিতীয় আসামি ১ নম্বর আসামিদের স্বামী জহিরুল ইসলামকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

আরিফ আজগর/এসএসএইচ